top of page

মাঙ্কিপক্স (Mpox): লক্ষণ, প্রতিরোধ এবং পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি | SKNH

মাঙ্কিপক্স (Monkeypox), যা বর্তমানে এমপক্স নামে পরিচিত, একটি ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ যা পশু থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে। সম্প্রতি, বিশ্বজুড়ে এই রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা গেছে, এবং পশ্চিমবঙ্গেও এ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।


মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ:

  • প্রাথমিক লক্ষণ:

    • জ্বর

    • মাথাব্যথা

    • পেশীতে ব্যথা

    • ক্লান্তি

    • লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া

  • পরবর্তী লক্ষণ:

    • জ্বরের ১-৩ দিনের মধ্যে ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়, যা মুখ থেকে শুরু হয়ে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে।

    • ফুসকুড়িগুলো প্রথমে সমতল ফোস্কার মতো হয়, পরে স্ফীত হয়, এবং শেষে পুঁজপূর্ণ ফোস্কায় পরিণত হয়।


মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ ও সময়কাল:

পর্যায়

সময়কাল

লক্ষণ

প্রাথমিক

১-৩ দিন

জ্বর, মাথাব্যথা, পেশীতে ব্যথা, ক্লান্তি, লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া

ফুসকুড়ি

১-৩ সপ্তাহ

মুখ থেকে শুরু হয়ে শরীরের অন্যান্য অংশে ফুসকুড়ি, যা পরে পুঁজপূর্ণ ফোস্কায় পরিণত হয়


মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ও প্রতিরোধ:

মাঙ্কিপক্স ভাইরাসটি সংক্রমিত প্রাণীর কামড়, আঁচড় বা তাদের রক্ত, দেহের তরল বা ফুসকুড়ির সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে। মানুষের মধ্যে এটি শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে বা সংক্রমিত ব্যক্তির দেহের তরল বা ফুসকুড়ির সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে ছড়াতে পারে।


প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা:

  • সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ শারীরিক সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা।

  • হাত ধোয়ার অভ্যাস বজায় রাখা।

  • ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) ব্যবহার করা।

  • সচেতনতা বৃদ্ধি এবং লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া।


চিকিৎসা:

বর্তমানে মাঙ্কিপক্সের জন্য নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণিত চিকিৎসা নেই। রোগটি সাধারণত ২-৪ সপ্তাহের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যায়। লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করা হয়, যেমন জ্বর বা ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল ব্যবহার। তবে, রোগের গুরুতরতা অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


পশ্চিমবঙ্গে মাঙ্কিপক্সের বর্তমান অবস্থা:

বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে মাঙ্কিপক্সের কোনও প্রমাণিত কেস নেই। তবে, স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্ক রয়েছে এবং জনগণকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদি কারও মধ্যে উপরের লক্ষণগুলি দেখা যায়, তবে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

মাঙ্কিপক্স সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট পরিদর্শন করতে পারেন।


সতর্কতা ও সচেতনতা:

মাঙ্কিপক্স একটি গুরুতর কিন্তু নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগ। সঠিক জ্ঞান ও সতর্কতার মাধ্যমে আমরা নিজেদের এবং আমাদের সম্প্রদায়কে সুরক্ষিত রাখতে পারি। সচেতন থাকা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এই ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের মূল চাবিকাঠি।

মাঙ্কিপক্স সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট পরিদর্শন করতে পারেন।

Comments


bottom of page